কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ অনুবিভাগ এর মহাপরিচালক বলাই কৃষ্ণ হাজরা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ দিয়েছেন, তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নত দেশে পরিনত হওয়ার ভিশন দিয়েছেন। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হতে হলে আমাদের উন্নত মানসিকতার মানুষ হতে হবে। তিনি ১৫ নভেম্বর যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ট্রেনিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খেজুরের গুড় উৎপাদন ও সংরক্ষণ শীর্ষক মাঠদিবস ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যশোর জেলার কৃষক, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, কৃষি গবেষকবৃন্দ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে মানসম্মত খেজুরের গুড় উৎপন্ন করা সম্ভব হবে। মান সম্পন্ন গুড় তৈরী হলে নলেন গুড়ের চাহিদা পূরণ হবে। প্যাকেজিং এর উপর গুরুত্বারোপ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আধুনিক প্যাকেজিং করে গুড় বাজারজাত করতে পারলে বিদেশে রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব । এক্ষেত্রে অনলাইনে গুড় বিক্রির জন্য কেনারহাট ডট কম সহ অন্যান্য উদ্যোক্তাদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের আরো উদ্যোক্তা তৈরীর উদ্যোগ নিতে হবে। বিএসআরআই এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আমজাদ হোসেন মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ক্লাস্টার ভিত্তিক খেজুর গাছিদের একত্রিত করে মানসম্মত খেজুর গুড় উৎপাদনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: সাইমুম হোসেন এর সঞ্চালনায় এ মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আবুল বাশার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ পার্থ প্রতিম সাহা বক্তব্য দেন। যশোরের যশ, খেজুরের রস উল্লেখ করে উপপরিচালক যশোর কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জেলায় ১৫ লক্ষ খেজুরের গাছ রয়েছে যার মধ্যে ৬ লক্ষ গাছ থেকে রস আহোরন সম্ভব হয়, প্রতি গাছ থেকে ১০ কেজি করে গুড় উৎপাদন হলে ৬লক্ষ মে.টন খেজুরের গুড় উৎপাদন করা সম্ভব হবে যার বাজার মুল্য কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে ৬০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট চুয়াডাংগা উপকেন্দ্র এ মাঠ দিবস ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। মাঠ দিবসে জেলার বিভিন্ন গুড় উদ্যোক্তা, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, বিএসআরআই এর গবেষকবৃন্দসহ শতাধিক খেজুর চাষি উপস্থিত ছিলেন।